আজকের সন্ধ্যেটা যেন অন্যসব দিনের থেকেও তাড়াতাড়ি গ্রাস করলো পাহাড়টাকে। কনকনে শীতটাও কুয়াশাস্নাত অন্ধকারকে জড়িয়ে ধরলো আষ্টেপৃষ্ঠে। জানলা দিয়ে বাইরে চোখ রাখলেই পশ্চিমের লাল আকাশটা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে।সারি সারি মেঘে ঢাকা পাহাড়গুলোকে হঠাৎ করে দেখলে অন্যজগতের বলে মনে হয়। সাদা বাংলোটার কাছেই একটা মোটামুটি বড় হ্রদ আছে। স্থানীয় লোকজন পরির পুকুর বলেই ডাকে সেটাকে। শীতের এই সময়টায় পরিরা নয়,প্রচুর অতিথি পাখির আগমণ ঘটে সেখানে। ভরা সন্ধ্যেবেলায় পরির পুকুরের বালিহাঁসদের অস্ফুট চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয় পাহাড়ে-পাহাড়ে। আজও বালিহাঁসদের সেই সম্মিলিত চিৎকার শুনতে পেলো আবিদ। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো সে। ভাবলো,কেন যে এভাবে করুণ সুরে ডাকে পাখিগুলো,কে জানে!
আবিদ পেশায় একজন লেখক। হরর সাহিত্যে অল্প কয়েকদিনেই বেশ নাম কুড়িয়েছে সে। খাগড়াছড়িতে সে এসেছে মূলত হাওয়া পরিবর্তনের জন্য। পাহাড়ের ওপর একটা পুরনো ডাকবাংলোতে ওর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দোতলা এই বাংলোটাকে ছোটখাটো জাদুঘর বললেও ভুল হবে না! বাংলোটা আগে চাকমা রাজা মেঘপ্রতাপের প্রাসাদ ছিল।মেঘপ্রতাপ বেশ শৌখিন লোক ছিলেন। বাংলোর সামনের বাগানে দুটো শ্বেতপাথরের সিংহমূর্তি, ভেতরের বড় ঘরটায় কারুকার্যখচিত ঝাড়বাতি,আর নানান রকমের ফুলদানিতে ঠাঁসা কক্ষগুলোই তাঁর শৌখিনতার প্রমাণ করে। মেঘপ্রতাপের অ্যান্টিক সংগ্রহের একটা অদ্ভুত বাতিক ছিল। দক্ষিণের বড়ঘরের প্রায় সমস্তটাই নানান রকম অ্যান্টিক জিনিসপত্রে ঠাঁসা। কয়েক রকমের মূর্তি থেকে শুরু করে হাজারী আয়না, ট্যাক ঘড়ি,গজদন্তের পুতুল কী নেই সেখানে! আজ সারাদিন ধুলোয় ঢাকা অ্যান্টিকগুলোর সাথে সময় কাটিয়েছে আবিদ। ঘরের এক কোণে অযত্নে ফেলে রাখা একটা গাধার মুখ আঁকা কাঠের বাক্স চোখ এড়িয়েই যাচ্ছিল ওর।কিন্তু সেটা চোখে পড়তেই কৌতুহলটা দ্বিগুণ বেড়ে গেল। আবিদ বাক্সটার কাছে এসে দেখলো,সেটার গায়ে তাম্রলিপিতে লেখা রয়েছে,
“যদি হও কুম্ভরাশির মনুষ্য
ছুঁয়ো না এ অলৌকিক রহস্য”
লেখাটা পড়ে ভীষণ অবাক হলো আবিদ।তারপর বাক্সের ডালাটা খুলে ভেতরে তাকালো। একটা ডায়েরি!বাদামি রঙের। ডায়েরিটার মলাট অত্যন্ত মসৃণ চামড়ায় তৈরি,এতটাই মসৃণ যে সারাক্ষণ তাতে হাত বোলাতে ইচ্ছে করে। এমন মসৃণ মলাট সে আর কোনো ডায়েরিতে দেখেছে কিনা সন্দেহ আছে।ডায়েরিটা আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড়,প্রচ্ছদে একটা অদ্ভুত অবয়বের ছবি আঁকা।অবয়বখানার শরীরটা পুরুষমানুষের কিন্তু মুখটা খুব সম্ভবত গাধা বা খচ্চরের ন্যায়। কোমর থেকে হাঁটু অবধি বড় বড় পশমের আচ্ছাদন,পেছন দিকে ময়ূরপুচ্ছের মতো বিশাল পেখম মেলে আছে!একইসাথে মানুষ,খচ্চর আর ময়ূরের সংমিশ্রণ।কে ইনি? কোনো দেবতা?নাকি দানব? অবয়বটার মধ্যে একটা অতিপ্রাকৃত ব্যাপার লুকিয়ে আছে।
আবিদ অবয়বখানার একটা ছবি তুললো। তারপর বাল্যবন্ধু সুজন মাহদীকে পাঠিয়ে দিল ছবিটা।লিখলো,দেখামাত্রই যেন সে এই অবয়বটার পরিচয় জানায়। বলা বাহুল্য,সুজন মাহদী একাধারে একজন পুরাতত্ত্ব ও প্রেততত্ত্ববিদ!ভৌতিক লেখালেখির সুবিধার্থে আবিদ প্রায়ই সুজন মাহদীর শরণাপন্ন হয়।
বালিহাঁসদের ডাক থেমে যেতেই চারপাশটা আরো বেশি অন্ধকার হয়ে গেল। ঠিক এইসময় কেয়ারটেকার রামহরি খাবার নিয়ে ঘরে এলো।রামহরি জাতিতে ত্রিপুরা। কাছেই একটা পাহাড়ি গ্রামে থাকে সে। বাংলোটা গত ৩০ বছর ধরে এই লোকটিই দেখভাল করছে।
খাবারটা টেবিলের ওপর রেখেই রামহরি হেসে একদম শুদ্ধ বাংলায় বলে উঠলো,”স্পেশাল বাঁশমুরগি আর ডিম কাবাং আনলাম স্যার।এখানকার বিখ্যাত খাবার!”
আবিদ শুধু হাসলো। কোনো উত্তর দিল না। বিছানার ওপর ডায়েরিটা এখন অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সেটার দিকে চোখ যেতেই রামহরি কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,”এই ডায়েরি এখানে কেন?এ তো অভিশপ্ত,স্যার!”
আবিদ অবিশ্বাসের গলায় বললো,”অভিশপ্ত মানে?”
রামহরি বললো,”শুনেছি,এই ডায়েরি নাকি মানুষ খায়,স্যার!ওর থেকে দূরে থাকাই ভালো। আমি বলি কী,ওটা যেখানে ছিল,সেখানেই রেখে দিন দয়া করে।”
আবিদ বিরক্তির স্বরে বললো,”আমি এসব অবান্তর ব্যাপার বিশ্বাস করি না!ভূত নিয়ে লিখি বলেই তুমি যাচ্ছেতাই আমাকে বলতে পারো না।যাহোক,তুমি এখন আসতে পারো রামহরি।”
রামহরি চলে যেতেই রাতের খাবারটা সেরে নিলো আবিদ।তারপর ডায়েরিটা আবারো নিরীক্ষণ করতে শুরু করলো।নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সীমাহীন কৌতুহল মানুষের আদিম প্রবৃত্তি।আবিদের মধ্যেও সে প্রবৃত্তি বাড়াবাড়িভাবে বিদ্যমান।
বাক্সের লেখনিটায় কুম্ভরাশির মানুষকে এই ডায়েরি ছুঁতে বারণ করা হয়েছিল।কিন্তু কেন?
আবিদ নিজের রাশি সম্বন্ধে অজ্ঞাত ছিল এতদিন,আজ হঠাৎ করেই নিজের রাশিফল জানতে ইচ্ছে হলো তার।পত্রিকাটা হাতে নিয়ে রাশিফলের পাতায় এলো সে।আর তাতেই অবাক হলো ভীষণ। কী আশ্চর্য! আবিদ কুম্ভরাশির জাতক!এও কি কাকতালীয়?
রাশির ব্যাপারটা মিলে যেতেই একটা অন্যরকম অস্বস্তি বোধ করলো আবিদ।ও দেখলো,ডায়েরির হলদেটে পৃষ্ঠাগুলোর সবটাই অলিখিত। সচরাচর যে ডায়েরিগুলি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলির পৃষ্ঠা দাগটানা থাকে। এই ডায়েরিটা তেমন নয়।এর পৃষ্ঠাগুলিতে দাগকাটা নেই আর পাতাগুলোও কেমন যেন মোটা ধরনের। হঠাৎ কী মনে হলো, হাতের কাছের কলমটা দিয়ে ডায়েরির প্রথম পৃষ্ঠায় নিজের নাম লিখে ফেললো আবিদ।খুব সুন্দর লেখা হচ্ছে,পৃষ্ঠাগুলি বেশ তো!তারপর কিছুক্ষণ ভেবে ডায়েরির দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় লিখলো,
“ভাবছি,এই ডায়েরিতে আমার পরবর্তী উপন্যাসটা লিখবো।”
এটুকু লিখতেই হঠাৎ করে লোডশেডিং হলো।খুবই বিরক্ত হলো আবিদ।মোবাইলের আলো জ্বাললো ও।সে আলোতে ও যা দেখলো সেটা কি তার বিভ্রম? আবিদ দেখলো,তার লেখা ঠিক যেখানে শেষ হয়েছে,সেখান থেকেই নতুন কয়েকটা লেখা ফুটে উঠেছে এই কয়েক সেকেন্ডে।লেখাগুলো অবিকল তার হাতের লেখার মতো অথচ সে নিজে লেখে নি।লেখাগুলি এমন,
“হঠাৎ করেই লোডশেডিং।মোবাইলের আলো জ্বালাতেই দেখলাম,ডায়েরিতে আমার নিজের হাতের নতুন কিছু লেখা ফুটে উঠেছে!অদ্ভুত ব্যাপার,আমি এগুলো লিখিই নি,কিন্তু লেখাগুলো অবিকল আমার হাতের।”
আবিদের অস্বস্তি এবার ভয়ে পরিণত হলো।এই কনকনে শীতেও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করলো।সে কি স্বপ্ন দেখছে?
ফোনে হঠাৎ বিপ করে শব্দ হতেই সম্বিৎ ফিরে পেল আবিদ।সুজন মাহদী ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছে।কিছুটা ধাতস্থ হয়ে অডিওটা প্লে করলো সে,
“এই ডায়েরি তুমি কোথায় পেলে? এ তো অশুভ!সদ্যজাত শিশুর চামড়া দিয়ে বাধানো হয়েছিল ডায়েরিটা।ওপরের কোণায় একটা ক্ষুদ্র চিহ্ন আছে দেখেছো? একটা কঙ্কালের মাথায় দুটো তরবারি L শেপে গাঁথা,এটা মোটামুটি ৫০০ বছর আগেকার প্রাচীন কালোযাদুর একটা গুপ্তপ্রতীক।আর তুমি যে অবয়বটার কথা বলছ,সেটা সুমেরীয় অপদেবতা আদ্রামেলেখের।কিছু জুডো-খ্রিস্টান ঐতিহ্যে,আদ্রামেলেখকে রাক্ষস হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।কলিন ডি প্ল্যান্সির প্রেততত্ত্ব বিষয়ক বই ইনফার্নাল ডিকশনারি অনুসারে, আদ্রামেলেখ দানব সিনেটের রাষ্ট্রপতি। তাকে নরকের উপাচার্য হিসেবে অভিহিত করা হয়। ডায়েরিটা খুব সম্ভবত বানানো হয়েছিল এই অপদেবতাকে ব্যবহার করে কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে।ডায়েরিতে যার নাম লেখা হবে তাকেই আদ্রামেলেখ মেরে ফেলবে এমন কিছু ধ্যান
ধারণা প্রচলিত আছে।তবে আদ্রামেলেখ এমনি এমনি কাউকে হত্যা করবে না।তাকে সন্তুষ্ট করতে নির্দিষ্ট তিথিতে একজন কুম্ভরাশির পুরুষকে বলি দিতে হবে।বলির ধরণটাও অদ্ভুত,বলির জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় ডায়েরি স্পর্শ করে তার নাম লিখতে হবে।এই বলি কোনো মানুষ দেবে না,এই বলি দেবে সেই নবজাতক শিশুর পৈশাচিক আত্মা,যার চামড়ায় আকার পেয়েছে ডায়েরিটা। ডায়েরিটা স্পর্শ করে নিজের নাম লেখামাত্রই সেই পিশাচ জেগে উঠে আদ্রামেলেখের উদ্দেশ্যে বলি দেবে স্পর্শকারীকে এবং আদ্রামেলেখ ফিরে এসে ডায়েরির কর্তৃত্বভার হাতে তুলে নেবেন! ”
আবিদের বুকটা ধক করে উঠলো।দ্রুত পায়ে আবার ডায়েরিটার কাছে ছুটে এলো সে। অবাক হয়ে দেখলো, আবারো নতুন কিছু লেখা ফুটে উঠেছে সেখানে ।এতক্ষণ তার সাথে যা হলো সেটার হুবুহু বিবরণ।এমনকি ভয়েস মেসেজের কথাগুলো পর্যন্ত অবিকল লেখা আছে! আবিদের কানে হঠাৎ করেই একটা কান্নার শব্দ ভেসে আসতে লাগলো।সদ্যোজাত শিশুর কান্না!এত রাতে এই বাংলোয় বাচ্চা কোত্থেকে আসবে?সে অবাক হয়ে দেখলো,ডায়েরিতে আপনা-আপনি আরেকটা লেখা ফুটে উঠলো,
“হঠাৎ করেই নবজাতক শিশুর কান্না শুনতে পাচ্ছি!এই বাংলোয় আমি আজ সম্পূর্ণ একা।বাচ্চার কান্না কোত্থেকে আসবে?”
মোবাইলের টর্চটা হঠাৎই জ্বলে-নিভে বন্ধ হয়ে গেল।আবিদের বুকের ভেতর যেন দামামা বাজছে এখন!পিশাচটার ঘুম ভেঙেছে তাহলে?ডায়েরির গল্পটা তবে মিথ্যে নয়!আবিদ ডায়েরিটা নিয়ে হঠাৎই একটা ঘোরের মধ্যে অন্ধকার হাতড়ে দ্রুত রান্নাঘরের দিকে যেতে লাগলো। ততক্ষণে তার মনে হলো,শিশুর কান্নাটা এবার আক্রোশে পরিণত হয়েছে।সেকি কাঁদছে নাকি হাসছে সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না।তবে ক্রমেই শব্দটা জোরালো থেকে জোরালোতর হচ্ছে।সমস্ত পৃথিবী সেই অমানুষিক শব্দের কাছে হার মেনে নিশ্চুপ হয়ে আছে।আর কী এক অতিপ্রাকৃত যেন দৌড়ে আসছে আবিদের পিছু পিছু!
কোনোরকমে রান্নাঘরে ঢুকে গ্যাসের চুলার কাছে যেতেই আবিদ দেখতে পেলো এক অদ্ভুত দৃশ্য।একটা নগ্ন নবজাতক শিশু হাঁটতে হাঁটতে রান্নাঘরে প্রবেশ করছে!তার গায়ে চামড়া নেই!অসম্ভব আক্রোশে দাঁতহীন মাড়ি বের করে চিৎকার দিতে দিতে এগিয়ে আসছে সে আবিদের দিকে। বাচ্চাটা মুহূর্তেই কাছে এসে বাম পা টা খামচে ধরতেই একটা শিরশিরে অনুভূতি হলো তার!কিছু না ভেবেই আবিদ দ্রুত গ্যাসের চুলোর আগুনের ওপর বসিয়ে দিল ডায়েরিটাকে।কিন্তু একী!ডায়েরিটা পুড়ছে না কেন?আগুনের মধ্যেও কীভাবে অক্ষত থাকতে পারে এটা?
আবিদ দেখলো,তার গায়ে হঠাৎই অলৌকিকভাবে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠেছে।ভীষণ যন্ত্রণা আঁকড়ে ধরছে তাকে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে তার! ব্যথায় চিৎকার করে উঠতে চাইলো আবিদ!কিন্তু কী এক অশরীরী শক্তি যেন তার মুখ চেপে রেখেছে,শত চেষ্টাতেও সে চিৎকার করতে পারছে না।অশরীরি শক্তিটা চাইছে,তার আর্তনাদ যেন কারো কানে না যায়!
বাচ্চাটাকেও এখন আর দেখা যাচ্ছে না।তার বদলে আগুনের তীব্র আলোতে রান্নাঘরের দেয়ালে ধীরেধীরে ফুটে উঠছে এক অতিলৌকিক ছায়ামূর্তি,মূর্তিটা আদ্রামেলেখের!
পরিশিষ্ট:
রামহরি তার ছোট্ট কুঁড়েঘরের শক্ত বিছানার উপর বসে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে হাতে ধরা ডায়েরিটার দিকে।তার কালিপড়া আয়তকার চোখদুটোর অভিব্যক্তিটা বিশ্বাস,ভক্তি আর মুগ্ধতার। আদ্রামেলেখের অবয়বটা দেখতে কী সুন্দরই না লাগছে! রামহরির ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। দীর্ঘ ২৫ বছরের প্রেতসাধনা বৃথা যায় নি তবে! কিছুক্ষণ ডায়েরিটার নরম মলাটে আলতো করে হাত বোলালো রামহরি। তারপর গাধার মুখ আঁকা বাক্সটার মধ্যে রেখে দিল সেটা।রামহরির বেশকিছু শত্রু আছে।ডায়েরিতে তাদের নাম লিখে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু এনে দেওয়ার এটাই উৎকৃষ্ট সময়।
সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসছে।দিনের আলো ফুরোবার সাথে সাথে ফুরিয়ে আসছে সময়,এগিয়ে আসছে অন্ধকার।সময় মাঝে মাঝে এত অন্ধকার হয় কেন?
_______________
Nadim Satej
আদ্রামেলেখের ছবিসূত্র:https://occult-world.com/adramelech/
Send private message to author




ভৌতিক গল্প বললেই মনে হয় তথাকথিত প্রেত/আত্মার কাহিনী থাকবে। তবে কিছু ভৌতিক গল্পে যখন দেখি লেখক লজিকের মাধ্যমে ব্যাপারটা পরিবেশন করতে চেয়েছে তখন আসলেই অভিভূত হই। এই যে ছোট বাচ্চার চামড়া দিয়ে বাঁধানো ডায়েরী যে অভিশপ্ত হবে সেটি আসলেই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, পিশাচ আর তাকে তুষ্ট করার এই যে প্রক্রিয়া সেটিও বড় বিশ্বাস করতে মন চাই। তাই এক কথায় বললে গল্পটি আমার ভালো লেগেছে বলতে হবে। তবে রামহরি চরিত্রের আরেকটু বর্ণনা পেলে ভালো লাগতো আরো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু🥰🥰 রামহরির চরিত্রে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছি ইচ্ছে করে। ছোটগল্প যেহেতু। জানি ছোটভাইকে দোয়ায় রাখবেন🥰 ভালোবাসা রইলো♥
কি হচ্ছে, কি হবে এগুলো চিন্তা করতে করতে শেষ হয়ে গেলো, আর এখন মনে হচ্ছে এর পর কি হবে? অসাধারন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া কেমন লেগেছে জানানোর জন্য। দোয়া রাখবেন❤️