আমার গ্রামের বাড়ি

বাড়িটা টিনের চালা। একটা ছোট্ট বারান্দা। আর সাথে একটা ছোট্ট আঙিনা। বাড়ির পেছনে তিনটা মেহগনি গাছ। মেইন গেটের পাশেই ছোট্ট একটা কাঁঠাল গাছ। তার পাশেই আরেকটা বন কাঁঠালের গাছ। গ্রীষ্মের প্রচন্ড রোদে ঘরে থাকা দায়। ফ্যান চালালেই টিনের তাপ টা যেন নিচে চলে আসে। বিছানাটা তখন মনে হয় আগুন কিন্তু রাত হলেই নেমে আসে এক প্রশান্তির ছায়া। বাড়িটা তখন একেবারে ঠান্ডা।

বর্ষাকালে টিনের ওপর বৃষ্টি পড়ার শব্দ উপভোগ করার মাঝেও আলাদা মজা থাকে। এদিকে বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো চাল বেয়ে পড়া পানি প্রতিরোধের অদম্য চেষ্টা। কোথাও বাটি তো কোথাও আবার গামলা পাতানো। বারান্দায় জমে খোশগল্পের আসর। পুরনো স্মৃতি গুলো আবার নতুন করে তাজা হয়।

রাতের বেলা বাথরুম যাওয়ার সময় মেহগনি গাছের দিকে তাকিয়ে ভূতের ভয়ে জড়সড়। কখনো বা গোয়াল ঘর থেকে আসা গরু ছাগলের শব্দে কেঁপে উঠে সারা শরীর।

গভীর রাতে আঙিনায় বসে আকাশ দেখার অনুভূতি টা একেবারেই অনন্য। আর কারেন্ট চলে গেলে সেই আঙিনা সাক্ষী হয় হাজার রকম গল্পের। পিঠা, পুরি বানানোর জন্য ও বরাদ্দ থাকে এই আঙিনা। সবাই একসাথে বসে কাজ করি। একেকজন একেক কাজে ব্যস্ত।

আজ কথা চলছে আমাদের নতুন বাড়ি বানানোর। কথাটা শুনে প্রথমে খুশি হলেও পরক্ষণেই আমার মনটা চুপসে যায়। একটা অদ্ভুত মায়া কাজ করে এই টিনচালা বাড়িটার ওপর। তাহলে আর কি উপভোগ করা হবে না বৃষ্টির সেই রিমঝিম শব্দ?এই আঙিনায় আর কি হবে না পিঠে পুলির উৎসব?

– Santona Borsha

Send private message to author
What’s your Reaction?
1
7
0
0
1
0
0
Share:FacebookX
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
2 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Mahi An Nur
Member
Mahi An Nur
4 years ago

ভালো লাগলো

purba anindita khan
Member
4 years ago

Nostalgic হয়ে গেলাম কিছুটা।

Locbook Platform

Locbook is an independent platform for aspiring writers

error: Content is protected !!