ইশ্বর! ছোট মুখে বড় কথা কওয়া যায় দুইডা?
থাক! বাদে নরকের আগুনে দু’চামচ ঘি না পড়ে!
কইলে কইতাম,আমারে মধ্যবিত্তের বেতন বানাইতা,
সারা মাসের শখগুলারে বাকীর খাতায় তুইলা রাইখা,
নগদে দুই-কেজি ইলিশ কেনার লাইগা,
বেচারা বেতনের দিকে চাইয়া থাকে,আহারে!
বলতাম, দূর্বার আন্দোলন বানালেও তো হইত!
সারাদিন গলা ফাঁটাইয়া সরকারের গদি কাঁপাইয়া,
রাতে চুপচাপ বাড়ি আসে যে কিশোর,মনে শঙ্কা-
‘ বাবা জানে না-তো? জানলে বেদম প্রহার হবে!’
বানাইতে পারতা, প্রেয়সীর আকাঙ্খা খানিক-
প্রেমিক বেচারার রং-চটা প্যান্টের মায়াও যে,
প্রতিদিন নতুন কইরা অনুভব করে, বাড়তি মনে;
আর আকাশ-কুসুম চিন্তা চলে হরদম,সীমাহীন।
ইশ্বর,ফোক ফেস্টের একটা সন্ধ্যা করলে হইত না?
চোখের সুখ হইত কারো, শ্রবণ সুধা ক’জন চায়?
কপালে বড় টিপ পইড়া,কত আধুনিকা জড়ো হয়-
এইসব গিলতে,এই সন্ধ্যার আশায় থাকে ঊনপুরুষ!
দোয়া কালামও তো হইতে পারতাম এক-আধটা!
বাবার দেহ,আইসিইউতে রাইখা,সারারাইত ধইরা,
চোখের পানির সঙ্গী যে কালামখানি,তার অংশ-
আশায় সলতে জুইড়া ইন্ধন দেয় সন্তানের-নাকি?
মানুষ বানাইয়া যে ম্যানুয়াল হাতে দিলা ইশ্বর-
তার রুপান্তরে ব্যস্ত মানুষ,স্বর্গের রাস্তায় পিচ ঢালাই!
মানুষ হইছি তাই,মানুষ-শুয়োরেরবাচ্চা বইলা গালি দেয়।
মানুষ হইছি তাই,মানুষরে-শুয়োরেরবাচ্চা বইলা গালি দেই।
তাই ছোট মুখে বড় কথা কইতে ইচ্ছা জাগে
থাক,পাছে নরকের আগুনে দু’চামচ ঘি না পড়ে!
– Saajid Hasaan
Send private message to author







লাইনগুলো অসাধারনঃ
“দোয়া কালামও তো হইতে পারতাম এক-আধটা!
বাবার দেহ,আইসিইউতে রাইখা,সারারাইত ধইরা,
চোখের পানির সঙ্গী যে কালামখানি,তার অংশ-
আশায় সলতে জুইড়া ইন্ধন দেয় সন্তানের-নাকি?”
ধন্যবাদ ভাই!