ভালোবাসার মা❤️
মুহাম্মাদ বশির আহমাদ লতিফী
দীর্ঘ প্রায় তেরো দিন পর আমি অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাই, একটা দাওয়াত ছিলো পাশের বাড়ির এক নানুর ঘরে রমজান মাস বলে ইফতার করার পর বাড়িতে এসে কিছু সময় শুয়ে ছিলাম। পাশের ঘরের একজন চাচাতো ভাই আসলো তাকে নিয়ে কিছু সময় বাইরে হাটাহাটি করলাম। হঠাৎ শুনি আমার পাশের বাড়ির একজন খালা অসুস্থ, একথা শুনতেই দেখি তার ছেলে উপস্থিত আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলতে লাগলো, খালা আমাদের বাড়িতে একটু আসেন আমার আম্মুর জানি কি হয়েছে! একথা শুনতেই আমি আমার চাচাতো ভাইকে নিয়ে তাদের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। পিছনে আব্বু আম্মু আসছে গিয়ে দেখি সবাই কান্না কাটি করছে, কেউ হাতে পায়ে তেল মালিশ করছে,জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে ? অনেকে বলছে সারা দিন রোজা রেখে কাজ করেছে, আরো কিছু টেনশন মিলিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তখন তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম সমস্যা নেই সব ঠিক হয়ে যাবে। বলতে বলতে খালার শাশুরি ডাক দিলো( খালার দুই মেয়ে এক ছেলে)। বললো, মারজুকে (খালার বড় মেয়ে) একটু বুঝাতে। বললাম, ওর কি হলো? বলে, সে তার স্বামীর সাথে সুন্দর ব্যবহার করে না উলটোপাল্টা ব্যবহার করে। বললাম ঠিক আছে সমস্যা নাই সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তাকেও শান্তনা দিলাম।তারপর মারজুকে খুজতে বের হলাম, হঠাৎ দেখি আমার বড় ভাইয়ের কল! বললো কোথায় তুই? আমি বললাম, খালার নাম ধরে যে তিনি অসুস্থ তাই তার বাড়িতে আসলাম। বললো কি হয়েছে? তারপরে বিস্তারিত বললাম। বললো তোর কথা ঠিক হয় নাই, তুই যাচাই কর তিনি সুইসাইড করতে চেয়েছে। আমি তো অবাক! বললাম, ঠিক আছে আমি দেখছি তখন তার ছোট মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে তোমার আম্মুর? বললো আম্মু সারা দিন রোজা রেখে ওকে বললো, তুই (মারজুকে)তোর স্বামীর সাথে সুন্দর ব্যবহার কর, তাকে জিজ্ঞেস কর কি অবস্থা? খাওয়া দাওয়া করছেন কিনা আরো অনেক কিছু।মারজু আম্মুর কথা না শুনে খারাপ ব্যবহার করলো, তাই আম্মু গলায় রশি দিয়ে অাত্নহত্যা করার ইচ্ছে করছে। তখন অনেক লোক একএ হয়ে গেছে, তাদের মধ্যে গন্যমান্য লোকেরা বসলো, তাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করলো, একটা মিমাংসা হওয়ার পর সবাই বললো, যে তার আম্মুকে কিছু দিন তার নানুর বাড়ি থেকে ঘুরে আসার জন্য। তিনি রওনা দিলে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে মনে হয় যে মারাই যাবে। তখন তার ছোট ছেলেটা তার মাকে তার কোলে শুয়াই বলে চোখ ভরা কান্না, বুক ভরা ব্যথা নিয়ে মাগো, ওমা তুমি তো আজকে কিছু খেলে না, চলো না একটু ভাত খাবে, ওমা তোমার কি হয়েছে? তুমি এমন করো কেন? মাগো তুমি চাড়া আমার তো কেউ নাই। তুমি চলে গেল আমি কাকে মা ডাকবো? আমাকে কে আদর করবে? ডেকে এনে খাওয়াবে। তার কথা গুলো শুনে আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারলাম না। একটা ছেলের মায়ের প্রতি এত ভালোবাসা।
– Md Boshir Ahmad
Send private message to author






