“আমি জোনাকিদের সাথে কথা বলতে পারি।”
শান্ত স্বরে বলে ইলিয়া। ইলিয়ার কথা শুনে ডক্টর সায়েদ মুচকি হেসে বলেন “ইন্টারেস্টিং লাগছে খুব। সম্পূর্ণ বলো।”
ইলিয়া বলা শুরু করে “আমার ১৯ বছর থেকেই আমি নিয়মিত আমার ঘরে জোনাকি দেখি। অনেক জোনাকি আসে। আমাকে ঘিরে রাখে। আমি অসুস্থ হয়ে থাকলে ওরা আমার গায়ে বসে। আলো দেয়। আমি সুস্থ হয়ে যাই। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে। কিন্তু আমি সত্যি বলছি। আগে বাবা-মাকে বলতাম এসব। কিন্তু তারা বিশ্বাস করেনি। আর এখন আমাকে বাধ্য করেছে সাইক্রিয়াট্রিস্ট দেখানোর জন্য।”
ইলিয়ার কোনো প্রকার সমস্যা নেই বলে ধারণা ইলিয়ার। বেশ পরিপাটি ২৫ বছরের একটা মেয়ে। এখনও বিয়ে করেনি।
ডক্টর সায়েদ জিজ্ঞেস করেন “তুমি বিয়ে করোনি কেন?”
ইলিয়া চুপ হয়ে যায়। ডক্টর সায়েদ বলেন” জোনাকিরা কি নিষেধ করেছে?”
ইলিয়া অবাক হয় না। সে বিশ্বাস করে সাইক্রিয়াট্রিস্টরা অনেক কিছুই ধারণা করতে পারেন। সেই ধারণা থেকেই তিনি কথাটা বলেছেন। ছোট করে ইলিয়া জবাব দেয় ” না।”
ডক্টর সায়েদ বলেন” বেশ। আচ্ছা ইলি, তোমার ঘরে কী শুধু জোনাকি আসে? নাকি?”
ইলিয়া অবাক হয়। ইলি ডাক শুনে। এই স্বরটা খুব পরিচিত লাগছে। তবে মনে করতে পারছে না। ইলিয়া ডাক্তারের চোখে চোখ রেখে জবাব দেয় “শুধু জোনাকিরাই আসে না। আরও একজন আসে। জানতে চান কে?”
হঠাৎ করে ডক্টর সায়েদের কি জানি হয়েছে। সে কর্কশ কণ্ঠে বলেন “না জানতে চাই না। তুমি এখন যাও।”
ইলিয়া হাসি দিয়ে বলে “ইচ্ছে না করলেও যে জানতে হবে ডাক্তার। আমার ঘরে জোনাকির আড্ডায় ভিন্নগ্রহের কেউ আসে। রাতের অন্ধকারে সে নিজের রূপে আসে। আর দিনে ছদ্মবেশ ধরে থাকে। জানতে চান সে কে?”
ডক্টর সায়েদ উত্তরে বলেন “ইলি যাও। এখনই যাও।”
ইলিয়া কথা বাড়ায়নি। শুধু বলে গিয়েছে “অনিচ্ছাকৃত ভুল ইচ্ছাকৃত ভুলের চেয়েও ভয়ংকর। “
এক, দুই……তেত্রিশ। তেত্রিশটা জোনাকির আগমন আজ। ইলিয়ারর মন বলছে আজ ভালো কিছু হবে।
আজ ইলিয়া ও জোনাকিদের জন্য চাঁদের হাটের মেলা বসেছে। তেত্রিশ সংখ্যাটা ইলিয়ার জন্য শুভ। যেদিন তেত্রিশটা জোনাকি আসে সেদিন ডক্টর সায়েদ আসেন। অন্যজগতের সায়েদ আসেন।
*—সমাপ্ত—
লেখা: FarjanaMithila
Send private message to author







ইলিয়ার চোখে চোখ রাখলে কি ডক্টর সায়েদ কে দেখা যায়়.?
হায়, আই এম জিহাদ বিবিসি কলেজ ইন বরিশাল বাংলাদেশ( অধ্যায়ন রত)