শাহবাগের আকাশটা কেমন যেন ভারী হয়ে আছে। কালো মেঘে ঢাকা। বিষাদগ্রস্ত। সেই আকাশের প্রতিচ্ছবি মনের ভেতর পুষে, রফিক ধীর পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। তার ডান হাতে সদ্য কেনা এক জোড়া গোলাপ। আর বাম হাতে সিগারেট। দামী। বাজারের সব চাইতে দামী।
আজ অনেক দিন বাদে সে সিগারেট খাচ্ছে। কেনই বা খাবে না? রেহানা তো তার কথা রাখে নি। তাহলে সে কেনো রাখবে? রফিক সিগারেট ফেলে দিয়ে বুক পকেটে হাত দিল। তাৎক্ষণিক একটি ভাজ করা কাগজ চলে এলো তার হাতে। যেখানে সযত্নে লিখা মোট ছাপ্পান্ন শব্দের একটি কবিতা। যেই কবিতাটি বহুকাল আগে রেহানাকে উৎসর্গ করে সে লিখেছিল। রেহানা কবিতাটি পড়ে তাচ্ছিল্যের সাথে বলেছিল, – এরকমটা হবে না, দেখে নিও।
কিন্তু না। আজ এরকমটাই হতে যাচ্ছে। কারণ, সে কথা রাখে নি। রফিক ঘরে ফিরবার আগে শেষবারের মত কবিতাটি পড়ল-
চাইলেই চলে যেত পারো এই বন্ধন ছিন্ন করেযেতে পারো এক আলোকবর্ষ দূরেযেখানে তোমার হাতে অন্য কারো হাতযেখানে তোমার আঙ্গিনায় অন্য কারো পায়চারী। তবে জেনে রেখো,শত বছর পরে হলেও এই আমার হাতেই তোমার খুন।তোমার দেহ ঝুলবে আমার ঘরের ধূলোয় জমাসিলিং ফ্যানেমেঝেতে পড়ে থাকা তোমার শাড়ির আঁচলে ছড়াব আমি শাহাবাগের গোলাপ।
– সমাপ্ত
-Abid Hossain Joy
Send private message to author







দারুণ