ভাঙ্গা গড়া আমার জীবনের সকল নিঃশ্বাসে,
আঁকা তোমার কুলষিত সত্ত্বার মিথ্যাচার, অসীম অদূরে আমার
ভালোবাসা কুঁড়েকুঁড়ে মরে, জাতিস্মরের আওয়াজ তুলে; যখন কোনো
বেদনাহীন চিত্তে মানবতার নোংরা দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে জগৎ ভুলানো
অন্ধকারচ্ছন্ন কুয়োর তলদেশে।
মৌন দর্পণ সজাক হয়ে, প্রতিবিম্বের ছায়ায় কিছু ধুলো জমা কবিতা
বলে চলে; আচ্ছা সেগুলো কী কখনো আবৃতি হয়? নাকি অমন মৌন
ছায়ায় ঝড়ে পড়ে, ধরণীর শান্ত নীলিমায় অস্পষ্ট কালো মেঘের ঘন বর্ষণে।
আমার সমস্ত ধমনী জুলে লোহিত কণিকার প্রবল জলোচ্ছ্বাস
উপলব্ধি করতে পারি, তারা যেন আর আবদ্ধ থাকতে চায় না।
এবার মুক্তি চায়!
তাহলে, আমি কী মৃত হয়ে পড়ব? আমার নিথর দেহে কোনো কী
অতীত দুর্বিষহ স্মৃতির চিহ্ন পর্যন্ত থাকবে না?
তবে, তাই হোক,
অমন করে ক’জনের পরপারের সৌভাগ্য হয়?
ক’জন পারে বলতে, আজ আমি আমার হাতেই নিহত!
এ সংসারের সকল মায়া ত্যাগ করে,
জীবনের শেষক্ষনের আলেয়ায় আবারও পদচ্ছাপ দেখি,
যেন কিছু হারানোর সংলাপ আমার নগ্ন কর্ণের ভারী পর্দা
ভেদে মস্তিস্কে চলে যায়,
বারবার শুধু বলে, আজও তোমার বাঁচতে হবে!
নিজের মত করে বাঁচতে হবে!
-সূচক
Send private message to author






