কাতর আমার চক্ষুদুটি নিঃশেষ হয়ে যায়, দুঃখের মৃদু নিঃশ্বাসে,
লোকে আমাকে সুধায়, কেমন করে ভেঙ্গে দেয় বাস্তবতার মুখোশ!
আমি নিরবে প্রথম জন্মে বসেছিলাম, হাতে হাত রেখে দেখেছিলাম,
তোমাদের নোংরা ধূলি জমা জীবনগল্পে, হারানো পদচ্ছাপ পেয়েছিলাম,
নিথর ছিলাম, আজন্ম হারানো মানবতার শেষপৃষ্ঠে আঁকা ভালোবাসার
শেষ বন্ধনটুকু!
তাতে করে কি ই বা এমন হলো? শুভ্র সুরে অজানা কবিতা কেউ তো আর
কখনো পড়ে দেখে নি!
আর আমি? আজো দাঁড়িয়ে আমার গড়া কল্পনার ভীড়ে,
কেমন করে আমার স্বপ্নগুলোকে, আমি নিজেকেই হত্যা করি।
চুপচাপ বসে দেখতে কী আমার সত্যিই ভালো লাগে?
না, লাগে না, তবুও প্রতিবাদী হতে পারি না,
ভেতরের গড়া বিবেক যেন বন্ধি থাকতে চায়, বের হয়ে
কেন আমায় বাঁচায় না?
আমি সত্যিই আজো অন্যের অপেক্ষায় আছি,
নিজের সবটুকু বিসর্জন দিয়ে, নীলিমার গোধূলির রাঙ্গা রঙের
আলপনা এঁকেছি,
সত্যি কেন আমি ভালো নেই?
থাকার কারন ই বা কী, যেখানে আমার নিজের অস্তিত্ব
নিজের হাতে বিলিন, বাঁচবার প্রয়াস ক্ষীণ,
আসলে ই তো আমি ভালো নেই, শুধুমাত্র আমার বিদায়ী চেতনার জন্যে
-সূচক
Send private message to author






