আমি কবি হতে চাই নি কখনো, যতক্ষন না বিধাতা স্বয়ং তার অসীম বিশ্বাস আমার উপর বর্ষীয়েছেন,
নিজ হাতে কবিত্বের স্বাদ বিঁধিয়ে, আমার অলস মস্তিস্কের পানে;
তবে আমার কমল অন্তরে ভালোবাসার বীজ বুনন করবেন না।
তিনি কেবল আমায় এ নির্মম উপহার দিয়েছেন, যার মর্ম আমি বুঝতে পারি না। হয়তো
অবুঝ ছিলাম নয়তো নাদান, হয়তো বেকুব ছিলাম নয়তো উজবুক; উপহারকে কখনো উপহাস করতে নেই!
আমার স্বপ্নগুলো সেদিন অসহনীয় ছিল, কখনো সেগুলোকে মনের গুপ্তঘরের সন্ধান দেই নি,
দেই নি অপার গগনে বিচরণের অসামান্য সাহস। নিরব ছিলাম, নিথর হয়তো, কেন ছিলাম সেটা জানা নেই!
হয়তো আমি অবুঝের শেষ প্রান্তে, সাগরের অতল গভীরে, আমার শুকনো হারানো পদচ্ছাপ খুঁজি!
নক্ষত্রের সংকেত মেনে, আজ শুরু এ পথের পানে আজন্ম হেঁটে চলা, বন্ধুর পথে।
বাঁকে হারিয়ে যাব হয়তো, নয়তো কোনো আঁধার সুড়ঙ্গে জীবনের টানে, যেথায় জীবন আসে আশার আলো হাতে নিয়ে।
আমার চলা সঙ্গি হতে নয়তো, পথের সংকেত সন্ধানী হতে,
কে জানে আজকে কী হবে, কে জানে কাল কী হবে, তা নাহয় থাক গতকালের স্মৃতির পাতায়। সামান্য সেকেন্ডের শব্দ ভেঙ্গে,
কবিতার ঝংকার উঠুক, অলসতার নিপাত যাক, স্বপ্ন যেন জীবন্ত নিঃশ্বাস টানুক;
কেবলী আজ আমার এ প্রার্থনা!
আজ আমার আমি নাহয় থাকুক, আমার সে আগামীকালের উদ্যমের অংশীদার, ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা হয়ে,
কেবল পথের ছায়াতলে; হারানো নিঝুম দ্বীপের ফিরে পাওয়া শেষ আশ্রয়স্থল।
এ যাত্রা পথে, সেদিন সত্যি দেখা হবে,
অবশ্যই বীরের বেশে!
-সূচক
Send private message to author






