আমি উত্তাল সমুদ্রের গর্জনে আমার লক্ষ্যের দেখা পাই,
আমি দেখা পাই, আমার সম্মুখে দাঁড়ানো এক কষ্টের পাহারে আঁকে সে লক্ষ্যের খোঁজ।
অজানা ভীতি যেদিন আমার স্বাধীনতার কথা বলে, রক্তিম গগনে যেথায় ভেসে বেড়ানো আমার
পুনঃ জন্মের অনলে পুড়া স্মৃতির প্রতিটি পৃষ্ঠায় যখন আমাকে কাঁদায়, সে বৃথা অশ্রুর শপথে আমি
আমার লক্ষ্যের দেখা পাই।
হাত বাড়িয়ে তখন সেটা ধরতে চাই, অমনি এক চিলেতে রোদ্দুরে ভেসে সে কে যে আমাকে আমার থেকে
অদূরে লুকিয়ে ফেলে, সে কে যে আমাকে আমার থেকে অন্যপ্রজন্মের মনুষ্য করে তুলে?
আমি কী তাকে চিনি? না হয় আমি তাকে চিনেও চিনি না, হয়তো দেখেও দেখি না,
কে জানে আমার ভুল সত্ত্বার মাঝে হয়তো লুকিয়ে থেকে কোনো পথ ভ্রষ্টের মত করে,
দূরে ঠেলে দেয়, আমাকে ভুলিয়ে রাখে, সম্মুখের হতে জিম্মি রাখে, সে হয়তো অন্যকেউ।
সাগরের ঢেউ থেমে যাবে, পাখিরা হয়তো আর গান গাইবে না,
আমার গীটারের তারগুলো হয়তো ছন্নছাড়া হয়েই পরে রবে।
আমি হয়তো থাকবো না সেদিন, তোমাদের থেকে কল্পলোকে পারি জমাবো।
তবে, সেদিন এই কবিতারা হাতছানি দিয়ে ডাকবে,
বারেবারে কেবলী তোমাকে,
যার স্রষ্টা একদিন বেঁচে ছিল
হাজারো জন-অরণ্যের ভিড়ে
-সূচক (Foisal Shahriyer)
Send private message to author






