সকাল থেকেই তোঁতাবিবির কথা মনে হচ্ছিল নুর মোহাম্মাদের। সে মহেষখোলা ছেড়েছে এপ্রিলে আর এখন সেপ্টেম্বর। বউ এর সাথে অনেক দিন দেখা নাই। অসুখ বিসুখ মানুষের মন নরম করে দেয়। সাতদিন আগে টাইফয়েড শুইয়ে দিয়েছে তাঁকে। জ্বরজারির সাথে খুব একটা পরিচয় ছিলো না তার। এই জ্বর তাকে অকম্মা বানিয়ে ছেড়েছে। *স্ট্যান্ড টু’র মত নিয়ম করে সকাল বিকাল কাঁপিয়ে জ্বর আসে। প্লাটুন কমান্ডার নায়েব সুবেদার সামাদ তাঁর টহলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। শুয়ে বসে দিন কাটনোর লোক নূর মোহাম্মাদ না। কিন্তু সামাদের এক কথা, যুদ্ধ করতে হলে আগে সুস্থ হতে হবে। “আর ক্যপ্টেন সাবের পিয়ারের লোক তুমি। তুমার যত্ন না নিলি আমার খবর আছে”। ক্যম্পের অন্যরা এ দু’জনের খুনসুটিতে মজা পায়। মাস খানেক আগে বর্ণীর যুদ্ধে আহত কোম্পনী কমান্ডারকে কাঁধে করে নিয়ে এসেছিলো নূর মোহাম্মাদ। সে কথা পুরো সাব সেক্টরে ছড়িয়ে পড়তে বেশি দেরি হয়নি।
কিছুদিন আগে কাশিপুর কোম্পানীর একটি প্লাটুনের সাথে গোয়ালহাটি এসেছে নূর মোহাম্মাদ। গুলবাখপুর প্রাইমারি স্কুলে ঘাঁটি গেড়েছে তারা। অস্ত্রশস্ত্র বলতে একটি এলএমজি, কয়েকটা এসএলআর আর থ্রি নট থ্রি রাইফেল। প্রায় তিন ক্রোশ দক্ষিণে গঙ্গানন্দপুরে পাকিস্তানিদের ঘাঁটি। কিছু রাজাকারসহ পাকিস্তানিদের আরেকটি ক্যাম্প ছুটিপুরে। তাদের হাতিয়ারের তুলনায় এসব তো কিছুই না। তার পরেও ক্যাপ্টেন সাহেব তাদের এখানে পাঠিয়েছে দলে নূর মোহাম্মাদের মত ছেলেরা আছে বলে। ক্যাপ্টেন সাহেবের কথা মনে হতেই হাসি পেয়ে গেল নূর মোহাম্মাদের, তার মত ৩৫ বছরের সৈনিককেও তিনি বাচ্চু বলে ডাকেন । অথচ তাঁর বয়স এখনও ২৫ পেরিয়েছে কীনা বলা মুসকিল। নূর মোহাম্মাদদের তেমন কোন কাজ নেই এখানে। প্রতিদিন গোয়ালহাটি বাজারের কাছে একটা স্ট্যন্ডিং পেট্রোল পাঠানো হয়, দূর থেকে ছুটিপুর ক্যাম্পে নজরদারি করার জন্যে। সেকটর কমান্ডার সাহেবের ইচ্ছা সময় সুযোগ মত ছুটি পুর, গঙ্গানন্দপুরের বারোটা বাজানো।
এই নিস্তরঙ্গ দিন রাত্রি নূরের ভাল লাগে না। ৬৫ সালের যুদ্ধে খেতাব পাওয়া সৈনিক সে। “এত ভাবনা চিন্তার কি আছে?গিরামের লোক জন নিয়ে শালাগের ঘিরে ফেললিই হয়”।
তবে আজকের সকালটা অন্য রকম। পেট্রলপার্টি চলে গিয়েছে তাও অনেকক্ষণ হয়। নূর মোহাম্মাদকে আজ নস্টালজিয়া পেয়ে বসেছে। তাদের চিত্রা নদীটির মত আর কোন নদী সে দেখেনি। পরিষ্কার সবুজ তার পানি। বাপজান আমানত শেখের কাছে সাঁতার শিখেছিলো সে এই নদীতেই। তবে বাপজানকে সে বেশি দিন পায়নি। ইউপি (আপার প্রাইমারী) দেবার আগেই একদিন চলে গেল বাপজান। একেবারে না বলে কয়ে। এমন ভাবে যে কারো মৃত্যু হতে পারে নূর মোহাম্মাদ কোনদিন ভাবেনি। অবশ্য সেটাই প্রথম তাঁর মৃত্যু দর্শন। ক’দিন পর যখন মা জিন্নাতুন্নেসাও তাঁকে ছেড়ে গেল, খোদার উপর খানিকটা অভিমান হয়েছিলো তাঁর। গোঁ ধরেছিলো কিছুতেই মাটি দিতে দেবেনা মাকে। ওই সময় চাচী আদর দিয়ে কোলে তুলে নিয়েছিলো তাকে। চাচী জানতেন নিজের ছেলের ভালোবাসা পাবার জন্যে কোন কেরামতির দরকার হয়না। পরের ছেলেকে আপন করতে হলে অনেক ছাড় দিতে হয়। লেখা পড়ায় মন ছিলো না বলে চাচার গাল মন্দ শুনতে হত তাঁকে।ক্লাশ টেনে উঠে যাত্রা দলে নাম লেখালো নুরু। চাচার ভয়ে বাড়ি আসা ছেড়ে দিলো। তবে চাচাও বেশিকিছু করতে পারতেন না। “বিটার আর কোন কাজ নেই খালি এতিম ছাওয়ালডার পিছনে লাগা ছাড়া। বাপ আমার যতটুক লিহা পড়া শিহিছে ওতিই হবেনে। পাল্লি এট্টা বউ ঘরে আনার কথা ভাবো দিন”। বউ আনার আগেই একদিন দুম করে মরে গেলো চাচী। বাড়ির সাথে চাচির কারনে যে আলগা বাঁধনটা ছিলো সেটাও আর রইলো না। ডাঙ্গার জমি বেচে কলের গান কিনে নিয়ে এলো নূর মোহাম্মাদ। সেদিন তো প্রায় সারা গ্রামের লোক তাঁর উঠোনে জড় হয়েছিলো কলের গান শুনতে। পাড়ার মুরুব্বিরা বুঝলেন এই বাউন্ডুলে ছেলেকে ঘরে রাখার একটাই উপায় জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া। তোঁতা বিবির সাথে তখন থেকে গাঁটছাড়া। বউটা তার ভালো। বড় মেয়েটা প্রায় বিয়ের যুগ্যি হয়ে উঠেছে কিন্তু এই বিশ বছরেও বউটা পুরোনো হয়নি একটুও। এসব ভাবতে ভাবতে চোখটা একুটু লেগে এসেছিলো, ঘুম ভাঙল প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দে। গোয়ালহাটির দিক থেকেই আসছে গুলির শব্দ। ল্যান্স নায়েক মোস্তফা গিয়েছিলো আজ পেট্রোল কমান্ডার হিসাবে। পাকিস্তানিরা আইসে গেছে না কি? ছুটে বেরিয়ে পড়ল সে স্ট্যান্ডিং পেট্রোলের দিকে।
একটু দূরে সিপাই নান্নু মিয়ের সাথে দেখা হল। ক্যাম্পের একমাত্র এলএমজিটি নিয়ে লড়ে যাচ্ছিল সে। আচমকা একটা গুলি লাগল তার গায়। নূর মোহাম্মাদ তাঁকে কাঁধে তুলে নিল, হাতে তুলে নিল তার এলএমজি।
একটি ফেরিতে করে ছুটিপুরের দিকে যাচ্ছিল এক দল পাকিস্তানি সৈন্য। সংখ্যায় তিরিশের মত। এদের উপর গুলি ছুঁড়েই বিপদে পড়ে গিয়েছে মুক্তি বাহিনী। ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানিরা। অবিরাম বর্ষণ করে যাচ্ছে বিভিন্ন রকম অস্ত্রের গুলি। নূর মোহাম্মাদরা সংখ্যায় হাতে গোনা কয়েকজন।
এভাবে হবে না। বুঝে যায় নূর মোহাম্মাদ। পাকিস্তানিদের বুঝতে দেয়া যাবে না তাদের সঙ্খ্যাল্পতার কথা। নান্নু মিয়াকে কাঁধে নিয়েই, বার বার জায়গা পাল্টে গুলি ছুড়তে থাকে সে। বিভিন্ন দিক থেকে গুলি আসতে দেখে পাকিস্তানিরা একটু ভড়কে যায়। তা কিছুক্ষনের জন্যে মাত্র। তারপর তিন দিকে ঘিরে ধরে নূর মোহাম্মাদদের। একটি মর্টারের গোলা আসে পাশে কোথাও পড়ে। সেখান থেকে ছুটে আসা ছররায় ঝাঁঝরা হয়ে যায় নূর মোহাম্মাদের কাঁধ। সহযোদ্ধা মোস্তফা কামাল ছূটে আসে তাঁর কাছে।
“ওস্তাদ আপনার গুলি লাগিছে, লন যাই”।
নূর মোহাম্মাদের মাথায় তখন খুন চেপেছে। সে বলে “আপনি নান্নুরে নিয়ে চলে যান। আমি কভার দিচ্ছি”। কামাল নূর মোহাম্মাদকে ফেলে যেতে রাজি হয়না।
“উস্তাদ আপনার কান্ধে গুলি লাগিছে। আপনারে থুয়ে যাওয়া যাবে না”।
সে হাত ধরে টানতে থাকে নূর মোহাম্মাদকে। হঠাৎ চীৎকার করে ওঠে নূর মোহাম্মাদ।
“হারামজাদার ছ’ল আমারে যুদ্ধ শিখাইস। ৬৫ সালে মেডেল পাওয়া মানুষ আমি যা বলতিছি তাই কর”।
সে চিৎকার কতকটা মোস্তফার কানে আসে কতকটা পাকিস্তানি গুলির শব্দে ঢাকা পড়ে। নূর মোহাম্মাদ মোস্তফাকে নিজের এলএমজিটি দিয়ে তার এসএলারটি হাতে নেয়।
“দোস্ত…, ভাই আমার…, তুই, নান্নুরে আর এলএমজিটা নিয়ে যা। অস্ত্র যেন হারামজাদাগে হাতে না। পড়ে। আমি ওগে ঠিয়াই (ঠেকায়) রাখতিছি”। নূর মোহাম্মাদের এই মিনতি মোস্তফার হ্রদয় বিদীর্ণ করে দেয়। সে নান্নু মিয়াকে কাঁধে নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে থাকে। অন্ততঃ কাশি পুরে একটা খবর দেওয়া দরকার।
পেট্রোলের সবাইকে বাঁচানোর কথা ছাড়া নূর মোহাম্মাদের আর কিছু মনে থাকে না। এসএলআর দিয়ে আগের মতই সে জায়গা বদলে বদলে গুলি করতে থাকে। একটু পর কাঁধের ব্যথায় তার শরীর অবশ হয়ে আসতে থাকে। চোখ বন্ধ হয়ে যেতে থাকে ক্লান্তিতে। একটি গাছের গুড়িতে হেলান দিয়ে বসার চেষ্টা করে সে। তার মাথার ভিতরটা ফাঁকা হয়ে যেতে থাকে। হঠাৎ মনে হয় দূর থেকে ভেসে আসছে পাকিস্তানিদের কণ্ঠস্বর, বুটের শব্দ। কেউ এক জন তাঁকে লাথি মেরে মাটিতে শুইয়ে দেয়। বুকের পরে লাফিয়ে ওঠে একজন। নূর মোহাম্মাদ কিছুটা টের পায়, কিছুটা টের পায় না। গভীর ঘুম তাঁকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে চায়। সে জোর করে চোখ মেলার চেষ্টা করে। এসময় এক জন ঘ্যাচ করে তার চোখের ভেতর বেয়নেট ঢূকিয়ে দিয়ে বলতে থাকে, “সালে গাদ্দার কি বাচ্চে …
সে কথা নূর মোহাম্মাদের কানে পৌছে না।গাছের উপর বসে থাকা পাখি গুলো, তীব্র স্বরে চিৎকার করতে থাকে।
দূর থেকে পাখির এই কোলাহল কে কান্নার মত মনে হয়।
টিকাঃ
*স্ট্যান্ডটুঃ সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের আগে নিয়ম করে সতর্ক অবস্থান নেওয়াস
- সাইদুল ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক সাইদুল ইসলাম লেখা পড়া করেছেন ঢাকা বিশব্বিদ্যালয়ে। কনফ্লিক্ট এণ্ড রেজিলিয়েন্স রিসার্চ ইন্সটিটিউট ক্যানাডার এই পরিচালক স্ত্রী ও দুই কন্যার সাথে এখন বসবাস করছেন, ক্যানাডার মিসিসাগায়,
নূর মোহাম্মাদের ঘুম





স্বাধীনতার অনুপ্রেরণায় আজ আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। যুদ্ধের নয় মাসে লক্ষ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা লাভ করি সে শহীদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশ মাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করার সর্বোচ্চ প্রয়াস। সে প্রয়াসে নূর মোহাম্মদের মতো সাহসী নির্ভিক শহীদ রা রয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশে মাথা উঁচু করে চলছি।
নূর মোহাম্মদ যে কিনা বাউন্ডুলে ভয়হীন এক যুকব। যার দীপ্তস্বর ও শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওরার ঘটনা নিজেকে আত্মনিবেদন করা সাথে পাক বাহিনীর হাতে তাকে নির্নম ভাবে লুটিয়ে পরতে হয়েছে। শত চেষ্টা করেও জীবন ঘড়ি সচল করতে পারেন নি। বুদ্ধি দীপ্ত কৌশল ও পাক বাহিনীর ৩০ সংখ্যক ঘাতকদের সামনে লুটিয়ে পরছে।
এ যেনো এক জীবন্ত শহীদের অনুপ্রেরণা দেশকে বাঁচাবার।
বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মাদ শেখের অবদান অবিষ্মরণীয়
সংগ্রাম ছাড়া মুক্তি সম্ভব নয় কথাটির তাৎপর্য আমরা আমাদের ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা সম্পরকে না জানলে হয়ত বুঝতেই পারব না ।মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্য়াগ ,দেশপ্রেম ,শোষিত ,নিপীড়িত মানুষদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা উদ্দুদ্ধ হয়েছিলেন বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ,একটি স্বাধীন -সারবভৌম দেশ উপহার দিতে ।
লেখক এ গল্পে অত্যন্ত বাস্তবিক রুপে মহান মুক্তিযুদ্ধকে উপস্থাপন করেছেন আমাদের কাছে । স্বাধীনতার ইতিহাস প্রিয় সকল বয়সের মানুষের জন্য এ গল্পটি এক অসাধারন ভুমিকা রাখবে ,যেখানে শহিদদের প্রতি এক বিশেষ ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন হয়েছে ।তাছাড়া লেখক এক বিশেষ আঙ্গিকে গল্পের পটভূমি উপস্থাপন করেছেন যা তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প পরতে আরও উৎসাহিত করে তুলবে…….. .।।
খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন। নূর মোহাম্মাদের মত বীরেরা তাঁদের বর্তমানকে আমাদের জন্যে উৎসর্গ করেছেন। আমরা যে। বার বার তাঁদের কৃতিত্বের কথা মনে করি।
সংগ্রাম ছাড়া মুক্তি সম্ভব নয় কথাটির তাৎপর্য আমরা আমাদের ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা সম্পরকে না জানলে হয়ত বুঝতেই পারব না ।মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্য়াগ ,দেশপ্রেম ,শোষিত ,নিপীড়িত মানুষদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা উদ্দুদ্ধ হয়েছিলেন বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ,একটি স্বাধীন -সারবভৌম দেশ উপহার দিতে ।
লেখক এ গল্পে অত্যন্ত বাস্তবিক রুপে মহান মুক্তিযুদ্ধকে উপস্থাপন করেছেন আমাদের কাছে । স্বাধীনতার ইতিহাস প্রিয় সকল বয়সের মানুষের জন্য এ গল্পটি এক অসাধারন ভুমিকা রাখবে ,যেখানে শহিদদের প্রতি এক বিশেষ ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন হয়েছে ।তাছাড়া লেখক এক বিশেষ আঙ্গিকে গল্পের পটভূমি উপস্থাপন করেছেন যা তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প পরতে আরও উৎসাহিত করে তুলবে…….. .।।
বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব পায় ৭ জন। যার মধ্যে অন্যতম এবং আমার অন্যতম প্রিয় যোদ্ধা তিনি, নুর মোহাম্মদ শেখ। তার আত্মত্যাগ ছিল চোখে পানি আসার মতো। যা আমাদের তার দেশপ্রেম ও আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসতে শেখায়।
পাকিস্তানিদের সাথে যুদ্ধে তিনি যুদ্ধ করার পাশাপাশি তার সহযোদ্ধাদের জীবন রক্ষায় তার ত্যাগ অনন্য। যুদ্ধের সময় যখন তার কাধে গুলি লাগে তবুও তিনি সহযোদ্ধাদের জীবন বাচিয়ে, নিজে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে একাই যুদ্ধ করেন। আবার তার যুদ্ধকৌশলও ছিল অনন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কম হলেও শত্রুদের তা না বোঝাতে নানা জায়গা থেকে গুলি করে। যাতে তারা বুঝতে না পারে মুক্তিযোদ্ধারা সংখ্যায় কম।
নুর মোহাম্মদ শেখ একটি ভালোবাসার নাম,দেশপ্রেমের প্রতীক, বাংলাদেশের গর্ব।আমাদের উচিত তার জীবন থেকে দেশপ্রেমের শিক্ষা নেওয়া।
সহমত