রিং হচ্ছে রিসিভ হচ্ছে না। বিরতিহীন ভাবে কেউ কল করেই যাচ্ছে। রৌমারী দত্ত বাথরুম থেকে বের হয়ে আসলেন। রিসিভার অন করতেই ওপাশ থেকে নিতু শান্ত ভঙ্গিতে বলল মা কেমন আছো? তোমার জামাই অষ্টম শ্রেণীর একটা মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে তুলেছে শুনেছো মা? রোমারি দত্ত বিরক্তির ভঙ্গিতে বললেন তোমার সাথে গত সাতদিন থেকে এ বিষয়ে অনেকবার কথা হয়েছে নিতু। শোনো মা তোমার কুলাঙ্গার জামাই এখন ওই কাছুয়াটাকে খাইয়ে দেয়, একসাথে ঘুমাতে যায়। আমি আর আমার ছেলে মেয়েরা সেগুলো হা করে তাকিয়ে থেকে দেখি। ভাবছি বাচ্চা দু’টোকে তোমার কাছে পাঠিয়ে দেবো এখন থেকে তুমিই ওদের দেখাশোনা করবে। চোখের সামনে এসব নষ্টামি দেখলেতো এসবই শিখবে নাহ মা বলো? রোমারি দত্তের কপালে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। দেখো নিতু এগুলো নিয়ে তোমার সাথে ঘন্টা খানেক আগেও আমার কথা হয়েছে তুমি সব কিছু নিয়ে আমার এখানে চলে এসো। শুধু বাচ্চারা না এখন থেকে তুমিও আমার সাথে থাকবে। গতকাল কোর্টে গিয়েছিলাম উকিলের সাথে আমার কথা হয়েছে ডিভোর্স পেপার রেডি হচ্ছে। মা একটা কথা বলি? অপ্রয়োজনী হলে বলো না। না মা খুব দরকারী কথা। বলো। আচ্ছা মা মৃত মানুষ কি ডিভোর্স পেপারে সাইন করতে পারে?
লিখা: ফারজানা মিশু
Send private message to author







শেষ লাইনটা একটা ধাক্কা দিলো। গল্পটা অন্যরকম। ভালো লাগলো পড়ে ।