অজানা পথের বাঁকে, মৃদু জোনাকের আলো নিভানো প্রভাতে,
যখন রবি তার সোনালো রশ্নির আভায় আমায় সিগ্ধ অন্তর
ছোঁয়ে, জোনাকদের মৃত্যু বাড়ায়।
কেউ কী তাদের মৃত্যু-চিৎকার শোনে?
নাকি কোনো সহৃদয়বান আত্না তাদের বিগামী পথের পানে চেয়ে বিধাতার কাছে প্রার্থনা করে?
আমি নিথর দৃষ্টি নিয়ে, তাদের মৃত-খোলসের দিকে তাকাই, অশ্রু আসে, সেটাও ফিরিয়ে নেই।
কী লাভ কয়েক ফোঁটা চোখের জল ফেলে, বিলাপের সুর আজ কেউ তুলবে না, কান্নার স্বর ধীর হয়ে আসবে না।
সবাই যখন যান্ত্রিকতার মরিচাধরা শিকলে বন্ধি, মনের সহানুভূতিতে জং ফেলে দেয়, তখন কী করে আমি,
আর তাদের পাঁশে থাকি? গল্প বাধি, আজন্ম বিলাসিতার স্বপ্নে বিভোর আমার স্বত্বা, বাস্তবতার ঘোর কাটিয়ে দিতে চায়।
কী নেশার আড়ালে, মগ্ন আজো আমি, কার পিছু বারবার ছুটে চলি, কার আশা, কার মায়ায়!
সে মায়াবী অনেক আগেই পর হয়েছে, নিজ ঠিকানা বেছে নিয়ে
আমি আগের মতই, আমার পথের পানে চেয়ে,
আসবে, অন্যকেউ এটা নিশ্চিত! সে তার মত করে জগৎ-সংসার সাজিয়ে,
সেদিন হয়তো জোনাকেরা বেঁচে রবে, সে হাতের স্পর্শে অপার মহাকাশের ছায়াপথে।
সে সোনালী প্রভাতের
অপেক্ষায় বসে
আজো!
-সূচক
Send private message to author






