১৯ বসুন্ধরা সিটিতে এসেছি। ইএমআই দিতে। আমার হবু বরের জন্য প্লাটিনামের আংটি কিনেছিলাম। লাখ খানেক পড়েছিল। রনি সাহেব ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। জিরো ইন্টেরেস্টে, ছয় মাসের কিস্তি। গত চার মাস ধরে মাসের সাত তারিখে এখানে আসাটা আমার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেতনের...
১৮ আজ শম্পাদিকে দাওয়াত করেছি। শুধু উনাকে না, আরও দুজনকে। রাতে। আর কিছুক্ষণের ভেতরেই চলে আসবে। শম্পাদিকে শুধু একটু আগে আসতে বলেছি। বাকীদের আটটার আগে এক্সপেক্ট করছি না। সবাই আসছে ফ্যামিলি নিয়ে। আমি অলমোস্ট রেডি। মা আসতে চেয়েছিলেন, হেল্প করতে। আমি বারণ...
১৭ আজকে বিয়ে। বেশ অনেক ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে, অবশেষে, এখন আমি বিয়ের পিঁড়িতে। বেনারসিটা এখন পড়িনি, ওটা সন্ধ্যায় পড়ব। আসলে অনুষ্ঠান সন্ধ্যায়। এখন এটা হচ্ছে সেটা ছোটখাট আক্দ। ছোট পরিসরে বিয়ে হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলে পক্ষে আসবে। এটাই এখনকার নর্ম। বিয়েটা...
১৬ কলিং বেল বাজল। মনে হচ্ছে ছেলেপক্ষ এসে গেছে। মা গিয়ে দরজা খুললেন। কিচির মিচির আওয়াজে বুঝে গেলাম, ওরাই। মনে হচ্ছে ছেলেপক্ষের মহিলারা শুধু। পুরুষড়া সম্ভবতঃ নামাজে গেছে। সো অফিসিয়াল অনুষ্ঠান শুরু হবে আরও ঘণ্টা খানেক পরে। অবশ্য যদি মহিলাদের কেউ আমার...
১৫ আজ শুক্রবার। জুম্মার নামাজের একটা ব্যাপার আছে। সো একটার দিকে সবাই আসলেও ছেলেরা এখান থেকে বেরিয়ে যাবে নামাজে। ওরা ফিরে আসলে এঙ্গেজমেন্ট অ্যান্ড দেন খানা দানা। এখন বারোটার মত বাজে। সাওয়ার নিয়ে ফেলেছি।শাড়ি পড়ে নিয়েছি। আমাকে সাজানোর দায়িত্ব...
১৪ সকালে ঘুম ভাঙল মায়ের আওয়াজে। জিজ্ঞেস করতে এসেছিলেন, পার্লারে যাবো কি না। জানিয়ে দিলাম, যাব না। ভেবেছিলাম কথাটা শুনে মা চলে যাবেন। গেলেন না। বিছানায় বসলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে নরম গলায় জিজ্ঞেস করলেন — কি হয়েছে তোর? ঘুম বেশ ভালোমত ভেঙ্গে গেছে। হাসার...
বাসায় ফিরেছি একটু আগে। মা এসেছিলেন, খাবারের জন্য ডাকতে। জানালাম, খেয়ে এসেছি। আর কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। মা আসলে ব্যস্ত কালকের অনুষ্ঠান নিয়ে। যদিও সন্ধ্যার সময় হওয়ার কথা ছিল অনুষ্ঠানটা, এখন পাত্রপক্ষ বলছে, সকাল সকাল করবে। ফলে মা এখন রীতিমত দৌড়ের...
১২ বের হওয়ার কথা ছিল এগারোটায়, কিন্তু কিভাবে যেন বেরোতে বেরোতে একটা বেজে গেল। কাজ একটাই, বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে আঙ্গুলের মাপ দিয়ে আসা। অবশ্য সোহরাব সাহেব আজ সকালে ফোন করে আনঅফিসিয়াল একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। কোন আংটি পছন্দ হলে কথাটা যেন ওখানে এক...
১১ বাসায় ফিরেই প্রথম যে কাজটা করলাম, সেটা হচ্ছে শম্পাদিকে ফোন করা। ওদিকে রিং বাজছে, আর এদিকে আবার বুকে হাতুড়ি। তিনবার রিং হওয়ার পরে ফোন ধরল শম্পাদি। — বলো কেন ফোন করেছি? শম্পাদি কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলেন — এনগেজমেন্ট পেছালো...
১০ — আপনাদের ব্রেকাপ হল কেন? একটু আগে যখন সেই ক্লিপ্টোম্যানিয়াকের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম, তখন বেশ শান্তভাবেই অপেক্ষা করে বসেছিল। অবাক হলেও মেনে উঠে চলে যায়নি। আর ঠোঁটে একটা মিটিমিটি হাসি নিয়ে যখন ফিরে এলাম, তখনও মিতু কিছু বলল না। অন্য কেউ হলে হয়তো...


Recent Comments