পরকীয়া কিংবা খুন

“ব্যাপারটা আমাদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পারছ?”

“হ্যাঁ। এখনই কিছু একটা না করলে আর কোনো আশা থাকবে না।” বলেই তানিয়া সোফা থেকে ঝট করে উঠে দাঁড়াল। ঘরের মাঝেও তার পায়ে হাই হিল। খটখট শব্দ তুলে জানালার কাছটাতে চলে গেল।

“কিন্তু কী করতে পারি আমি? গতকাল এত বিচার হওয়ার পর এখন বাড়িতে ডিভোর্সের কথা তোলাও যাবে না। আমার মা বাবা ভাই বোন সব আমার বউয়ের কেনা হয়ে গেছে। আমাকে সমানে দোষ দিয়ে যাচ্ছে! আমার কি নিজের জীবনের স্বাধীনতা নেই? একজনকে বিয়ে করেছি বলে তার সাথেই সারাজীবন থাকতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই! কিন্তু সেটা বুঝবে কে? বাবা সোজা বলে দিয়েছে নায়লাকে ডিভোর্স দিলে সম্পত্তি থেকে বেদখল করে দেবে। ভাবো!”

“আর তোমার বউ?”

“সে হচ্ছে দেবী। আমাকে শুধরে ছাড়বে পণ নিয়েছে। হাহ!”

“ডোন্ট ওরি বেবী! একটা উপায় এখনো আছে!”

“কোনটা?”

“তোমার বউকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে হবে।”

“মানে?”

“সহজ ব্যাপার! ওকে খুন করতে হবে!”

তানভীর প্রায় চিৎকার করে উঠল, “খুন মানে?”

“হ্যাঁ বেবী। তোমাকে কিচ্ছু করতে হবে না। যা করার আমি করব। ঘুমের মধ্যে জাস্ট বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলব। টু শব্দ করার সুযোগ পাবে না।”

“তারপর?”

“তুমি সবাইকে বলবে রাতের বেলা স্ট্রোক মারা গেছে।

“আর যদি পুলিশ কেস হয়? পোস্টমর্টেম করে?” কাঁপা গলায় বলল তানভীর।

“ধুর! কে করবে? শোনো, তুমি সবাইকে বলবে রাতে তোমার সাথে ঝগড়া হয়েছিল। নায়লা অনেক চেঁচামেচি করে ঘুমুতে গেছে। শোয়ার পর থেকেই অস্থির অস্থির করছিল। তারপর মাঝরাতে হঠাৎ মৃত্যু!”

“তাতে তো আরও বেশি সন্দেহ করবে!”

“আরে না বুদ্ধু! তুমি ঝগড়ার কথাটা স্বীকার করলে ঘটনাটা আরও বিশ্বাসযোগ্য হবে। তোমাদের এমনিতেও ইদানীং ঝগড়া হচ্ছিল। সবাই ভাববে তার ফল। কিছুদিন তারা তোমাকে দোষারোপ করবে সেজন্য। কিন্তু নায়লার মৃত্যু যে অন্যভাবে হয়েছে সেটা সন্দেহই করবে না!” তানিয়ার চোখেমুখে বেশ একটা আত্মবিশ্বাসের ছাপ ফুটে উঠেছে।

তানভীর ঢোক গিলল। পাঁচ বছর ধরে যে মেয়েটার সাথে সংসার করছে তাকে মেরে ফেলবে?

তানিয়া তানভীরের মুখ দেখে ব্যাপারটা আন্দাজ করে বলল, “এ্যাই, কিচ্ছু ভেবো না। যা করার আমি করব। তুমি শুধু আমাকে তোমার ফ্ল্যাটে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেবে।”

তানভীর এখনো সায় দিতে পারছে না। তানিয়া তার কাছে এসে গা ঘেঁষে বসল৷ এক হাতে গলা জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নিল তানভীরকে। মুহুর্তেই তানিয়ার শরীরের মাদক ঘ্রাণে তানভীরের আর কিছুই মনে রইল না।

তানিয়া দেখতে হুরপরীদের মতো। গায়ের রঙ উজ্জ্বল ফরসা, চোখদুটো সাক্ষাৎ পদ্মফুলের মতো। সরু কোমর, ভারী সুডৌল বুক আর টুকটুকে ঠোঁটদুটো একেবারে চুম্বকের মতো টানে তানভীরকে। তানিয়ার দিকে ভালো করে তাকিয়ে তানভীর বলল, “তোমার জন্য একটা কেন, দশটা নায়লাকে খুন করতে রাজি আছি ডার্লিং!”

                                   *
ইন্সপেক্টর রুদ্র কায়সারের মুখটা পাকা টমেটোর মতো লাল হয়ে আছে। কনস্টেবল আশরাফ আলী ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, “স্যার কাজ হয় নাই না?”

রুদ্র কায়সার সামনে থাকা ফাইলটা ছুঁড়ে মেরে বলল, “কচুর খবর দিছে শালার ইনফরমার। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তো কাউরে পাইলাম না। ওই মেয়ে বহুত চালাক। এমনেই কি আর চারটা মার্ডার কইরা বইসা আছে আর কেউ টের পায় নাই!”

আশরাফ আলী কাচুমাচু করে বলল, “চারটার খবর আমরা পেয়েছি স্যার। আরও হতে পারে…”

“চোপ! চারটা মানে চারটাই! মাথা খারাপ হইয়া গেল আমার!” রুদ্র কায়সার মাথায় দুই হাত চেপে বসে রইল। তার এত পেরেশানির কারন একটা মেয়ে। যে একটার পর একটা খুন করে যাচ্ছে খুবই চালাকির সাথে। মেয়েটা বিবাহিত পুরুষদের ফাঁদে ফেলে তাদের ফুসলে বউয়ের সাথে সম্পর্ক খারাপ করে দেয়। তারপর সেই নিরীহ বউয়ের খুন করে ফেলে। প্রথমটায় তো কেউ বুঝতেই পারেনি। এমনভাবে খুন করেছে যেন দেখে মনে হয় স্বাভাবিক মৃত্যু৷ পরিবারের লোকজনও বুঝতে পারেনি। শেষে গত চার মাস আগে এক ভিক্টিমের বোনের সন্দেহ হয়। সে তার বোনের স্বামীর নামে কেস করে। লোকটাকে ধরে আনতেই জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিছু মারধোরের পর সে জানায় তার স্ত্রী খুন হয়েছে। খুনটা করেছে তার অবৈধ প্রেমিকা, যে খুনের পর লাপাত্তা হয়ে গেছে। পুলিশ অনেক খুঁজেও লোকের প্রেমিকার কোনো হদিস পায়নি।

খবরটা পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পরপরই আরও খবর আসতে থাকে। মাস ছয়েক আগে নাকি আরেক বাড়িতে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। সেখানেও স্বামীর পরকীয়া নিয়ে বাড়িতে ঝামেলা হচ্ছিল। এরপর আরেকটা খবর আসে। মোট তিনটা খুনের কেস পুলিশের খাতায় ওঠে যেখানে প্রত্যেক ভিক্টিমের স্বামীই জানায় খুন করেছে তাদের প্রেমিকা। বর্ননা অনুযায়ী বোঝা যায় সবগুলো খুন একটা মেয়েই করেছে। বিভিন্ন নামে সে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কখনো সে টিনা, কখনো ফারিহা, কখনো জারা। প্রত্যেকটা খুন সে করছে দু’মাস পরপর। এই বিষয়ে পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। তারপরেও রহস্যময়ী নারী থেমে থাকেনি। দু’মাস আগেও একটা খুন হয়েছে একইভাবে। সমস্যা হলো লোকজন সচেতন হচ্ছে না। আর এই শহরে হাজার হাজার পরকীয়া প্রেমের কাহিনী চলে। কেউই কি ধারণা করবে তার প্রেমিকা একটা সিরিয়াল কিলার? সবাই বিশ্বাস করেই প্রেম করে। তাছাড়া মেয়েটা নাকি খুবই সুন্দরী আর আকর্ষণীয়া। আগে থেকে যদি জানাও থাকে ও মরণ ফাঁদ, তারপরেও নাকি পুরুষদের পক্ষে সম্ভব হয় না তার জালে আটকা পড়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে!

আজ খবর পেয়েছিল এক হোটেল কক্ষে সেরকম এক মেয়েকে সুদর্শন এক ছেলের সাথে ঢুকতে দেখা গেছে। তারা নাকি এই হোটেলে আগেও এসেছে। মেয়েটার বর্ননা খুনীর সাথে অনেকটা মেলে। খুনী প্রতিবার নিজের নামের সাথে পোশাকের ধরনও বদলে ফেলে৷ ওয়েস্টার্ন ড্রেস, সালোয়ার কামিজ, বোরকা একটার পর একটা গেটআপে হাজির হয়। এবারে নাকি শাড়ি পরা ছিল। কিন্তু রুদ্র সেখানে যেতে যেতেই দু’জন চলে গেছে। রেখে যায়নি কোনো সূত্র। রেজিস্ট্রি খাতায় ছেলের নাম ছিল তানভীর আহমেদ, মেয়ের নাম তানিয়া। হতে পারে দুটোই সঠিক। মেয়েটা সেই মেয়ে নয়। আবার হতে পারে এরাই! কে জানে! মেয়েটার একটা ছবি পাওয়া যেত যদি! কোনো প্রেমিকের মোবাইলেই সে কোনোদিন ছবি তোলেনি!

রুদ্র কায়সারের মাথা ব্যথা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। দুই মাস হয়ে গেছে। আরেকটা খুনের সময় হয়েছে। এখনো যদি খুনীকে ধরা না যায় তাহলে তার রেপুটেশন তো শেষই, চাকরি নিয়েও টানাটানি পড়ে যাবে…. তাছাড়া চিন্তা আরও একটা আছে। সেই চিন্তাই তাকে স্থির থাকতে দিচ্ছে না!

                                     *
নায়লা কেক বানাচ্ছে। তার হাতে বানানো কেক তানভীরের খুব পছন্দ। সবসময় বলে নায়লার হাতের কেকের চেয়ে ভালো কেক পুরো বাংলাদেশে কেউ বানাতে পারে না। সে যদি কোনো রেস্টুরেন্টের শেফের চাকরি নেয় তাহলে সেখানে লোকেরা মাছির মতো আসতে শুরু করবো! কথাগুলো মনে পড়লেই হাসি পায়। তানভীরটা সবসময় এমন বাড়তি প্রশংসা করে। তবে তাতে খুব একটা খারাপ যে লাগে তা না! ভাবতে ভাবতে নাকের ডগা লাল হয়ে ওঠে নায়লার৷ আবার পরক্ষণেই কপালে ভাজ পড়ে। তানভীর ইদানীং কেমন হয়ে গেছে। সে কি আবার আগের মতো হবে কখনো? শুধু নায়লাকেই ভালোবাসবে?

বাসতেই হবে! নায়লা জীবন দিয়ে দেবে সেজন্য। সে কেকটা আরও যত্ন করে বানায় আজ। কেকের কাজ শেষে সুন্দর একটা লাল সিল্কের শাড়ি পরে। খোপায় গজরা লাগায়। আর কপালে ছোট্ট টিপ। এভাবে সাজলে তানভীর যা পছন্দ করে! কখন আসবে সে? এত দেরী করে এখন! কোনো কোনোদিন অপেক্ষা করতে করতে নায়লা না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত বারোটা পেরিয়ে ক্যালেন্ডারে তারিখ আরেক ঘর এগোয়। তবু তানভীরের খবর থাকে না….

                                   *
আজ তানভীর দ্রুত ফিরেছে। নায়লাকে দেখেই চমকে গেছে। “বাহ তোমাকে কী অপূর্ব লাগছে!” বলে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে নায়লার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয় তানভীর। অনেকদিন পর এই ভালোবাসাটুকু পেয়ে নায়লার মন পাখির মতো উড়তে থাকে। সে তানভীরের হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে রাখে। ঘরের স্যান্ডেল, গোসলের তোয়ালে এগিয়ে দেয়। বলে, “তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে এসো।”

“আজ জমিয়ে রান্না হয়েছে বুঝি?”

নায়লা হাসে। তানভীর বুঝে নেয়। শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে অন্যমনষ্ক হয়ে যায় তানভীর। অনেক কাজ আছে তার। আজ রাতটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উফ এই নায়লা এত সুন্দর করে সেজেছে কেন আজই? সব এলোমেলো করে দেবে তো!

রাতে খাওয়া শেষে জলদি শুয়ে পড়ে তানভীর। নায়লা হাতের কাজ শেষে ঘুমাতে এসে দেখে তানভীর নাক ডাকছে। নায়লার মায়া হয়। কত কাজ করে ছেলেটা! এত ক্লান্ত থাকে যে শোওয়ার সাথে সাথে ঘুম! নায়লা একপাশে কাত হয়ে শুয়ে পড়ে। ভেবেছিল আজ অনেক গল্প করবে তানভীরের সাথে। তা আর কোথায় হলো! কেকটা খেয়েও তানভীর প্রশংসা করল না। নায়লার চোখ বেয়ে নিঃশব্দে জল গড়ায়। এলোমেলো চিন্তায় ক্লান্ত হয়ে মস্তিষ্ক তার চোখদুটোকে জানায়, ঘুমানোর সময় হয়েছে। ঘুমের অতলে তলিয়ে যায় নায়লা।

তানভীর যখন বুঝতে পারে নায়লা ঘুমিয়েছে, তখন কৃত্রিম নাক ডাকা বন্ধ করে সে। সতর্কতার জন্য আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকে। তারপর উঠে সব ঠিকঠাক করে নেয়। যে কোনো সময় তানিয়া চলে আসবে। তানিয়া বাড়িতে ঢুকেছে আগেই। এখন আছে ছাদে। এই বাড়ির প্রত্যেক ভাড়াটের কাছেই ছাদের চাবি থাকে। চাবিটা সকালে নিয়ে গিয়েছিল সে। ফেরার সময়ই তানিয়াকে জায়গামতো রেখে এসেছে। এখন আবার ছাদে গিয়ে নিয়ে আসতে হবে তানিয়াকে। এতক্ষণ কী করছে ও কে জানে! সাহস আছে বটে মেয়েটার। এমন সাহসী মেয়ে তানভীরের বরাবরই পছন্দ।

                                  *
তানিয়ার চোখদুটো চকচক করছে৷ তানভীর এতক্ষণ যে বালিশটায় শুয়েছিল সেটা হাতে নিয়ে নায়লার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে৷ ঝাঁপিয়ে পড়বে এক্ষুনি। ঘরে আধো অন্ধকার। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার আগে মেয়েরা যেভাবে হাত ছোড়াছুড়ি করে, যুদ্ধ করে বাঁচতে চায়, তখন পৈশাচিক আনন্দ হয় তানিয়ার৷ প্রতিবার যুদ্ধে সে-ই জেতে। অপর মেয়েটিকে হারিয়ে দেয় চিরতরে। আর প্রতারক স্বামীগুলোকেও শিক্ষা দিয়ে আসে প্রতিবার।

নায়লাকে একবার ভালো করে দেখল তানিয়া। মিষ্টি মুখটা। আগামীকাল রাতে এই সময়ে থাকবে মাটির নিচে। সব তানিয়ার হাতের কারসাজি। আহা! একবার চকিতে তানভীরের দিকে তাকাল সে। ছেলেটার চোখে পানি জমে আছে। আহারে বেচারা! ভাবছে বউ মরে গেলে তাকে পাবে! বোকার হদ্দ!

বালিশটা নায়লার মুখের ওপর চেপে ধরে সে৷ প্রচন্ড চাপে দমবন্ধ হয়ে আসে নায়লার৷ প্রাণপণে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে চেপে বসা প্রাণীটিকে।

ঘরের লাইট জ্বলে ওঠে তক্ষুনি। তানিয়ার হাতদুটো ঢিল হয়ে এলো আপনাআপনি। কয়েকটা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তাক করা তার দিকে। চোখে আতঙ্ক নিয়ে দেখল তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে কতগুলো লোক। অবশ্য সে অতটাও ঘাবড়ে গেল না। জানত এমন দিন একদিন আসবেই! প্রস্তুতই ছিল এর জন্য। হাতের ব্রেসলেটের গোপন খোল থেকে পটাশিয়াম সায়ানাইড মুখে পুরতে গেল ক্ষিপ্র হাতে। কিন্তু সফল হলো না। তার হাত খামচে ধরে ফেলে দিল তানভীর৷ দু’জন শক্তিশালী মহিলা পুলিশ তাকে ধরে ফেলল শক্ত হাতে।

নায়লার বুক ধড়ফড় করছে। দম ফিরতে সময় লাগল একটু। তানভীর তাকে যত্ন করে পানি খাওয়াল৷ সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে। এরা কারা? পাগলের মতো করছে এই মেয়েটা কে? আর তাকে মারতে গিয়েছিল কে? তার স্বামী ইন্টেলিজেন্সে চাকরি করে বলে সবসময় খুন খারাবি, অপরাধী নিয়ে থাকে। তাই বলে বাড়িতে এসব? কিছুদিন ব্যস্ত ছিল ভালো কথা, এখন বাড়িতেই চোর-ডাকাত-খুনী এনে তুলেছে! নাকি ঘটনা অন্য? সে সরু চোখে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে সবাইকে।

                                *
ইন্সপেক্টর রুদ্র কায়সারের দুশ্চিন্তা ঠিকই ফলে গেছে৷ সিরিয়াল কিলারটাকে শেষ পর্যন্ত ধরতে পেরেছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীর আহমেদ। আজ পত্রিকায় সে খবর ফলাও করে ছাপা হয়েছে৷ লোকটার বুদ্ধি আছে বটে! নিজেই খুনীর প্রেমিক সেজে নাটক করেছে৷ আবার নিজের স্ত্রীকে বলির পাঠাও বানাতে যাচ্ছিল! সেদিন হোটেলের খাতায় তানভীর নামটা দেখেও কেন যে বুঝল না সে!

(সমাপ্ত)

সুমাইয়া আমান নিতু

Send private message to author
What’s your Reaction?
0
2
0
0
0
0
1
Share:FacebookX
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Locbook Platform

Locbook is an independent platform for aspiring writers

error: Content is protected !!